আজ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ই-পাসপোর্টের সুবিধা পেতে শুরু করেছে কিশোরগঞ্জবাসী

 

নিজস্ব প্রতিনিধি :বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসেবে গত বছরের ২২ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু হয়।পাসপোর্ট অফিসে এসে সাধারণ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মূলত ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়। বাসায় বসেই একজন মানুষ ই-পাসপোর্ট করতে পারে।ই-পাসপোর্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে ই-গেট ব্যবহার করে খুব দ্রুত ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এর মাধ্যমেই ইমিগ্রেশন দ্রুত হয়ে যাবে। ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রেখে দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। থাকবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের ব্যবস্থাও। সব ঠিক থাকলে তিনি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। কোনো গরমিল থাকলে জ্বলে উঠবে লালবাতি। কারও বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলে, সেটিও জানা যাবে সঙ্গে সঙ্গে। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অরগানাইজেশন (আইসিএও) এই পিকেডি পরিচালনা করে। ফলে ইন্টারপোলসহ বিমান ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য যাচাই করতে পারে। এখানে ৩৮টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকায় এ ধরনের পাসপোর্ট জাল করা সহজ নয়। যা লাগবে ই–পাসপোর্ট করতে: ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ৫১ হাজার জন ই-পাসপোর্টের আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ৪১ হাজার জনের পাসপোর্ট প্রিন্ট হয়ে এসেছে। রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে ডাটা বেইজ রয়েছে এবং প্রতিটি পাসপোর্ট আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। যার ফলে অবৈধ, ভূয়া নাম ঠিকানা ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করতে সহজ হয়ে যায়।

কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, ই-পাসপোর্ট বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করছে এবং পাসপোর্টের নিরাপত্তা অধিকতর নিশ্চিত করণসহ ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমন ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজ হবে। কিশোরগঞ্জের মানুষের জন্য পাসপোর্ট সংক্রান্ত সেবা দিতে আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। ই-পাসপোর্টে সাধারণ মানুষের হয়রানি অনেক কমেছে। তথ্যগত ভুল, বিরুপ পুলিশ প্রতিবেদন এবং সংশোধন বাদে শতভাগ ক্ষেত্রে সকল পাসপোর্ট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি।

Comments are closed.

     এই ক্যাটাগরিতে আরো সংবাদ